Publisher's Synopsis
আমার এই কাল্পনিক উপন্যাসটির Protagonist রুমকি শ্রীমানী । তার স্বামী অর্জুন শ্রীমানী। সম্পূর্ণ উপন্যাসটিতে রুমকি ফার্স্ট পার্সনে তার কথা বলে গেছে। সে একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্পোরেট আধিকারিক। অর্জুন, বাবার নির্বাচিত সাধারণ কেরানী হওয়া সত্ত্বেও, রুমকি বিয়ে করেছে, কারণ সে পণ নেয়নি।
এবং বিয়ের পরে, তাকে তার বোনেদের, দায়িত্ব নিতে বাধা দেবে না, এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
অত্যন্ত গরীব হওয়ার কারণে, ছোট থেকে আত্মীয়দের humiliation, তার মনে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছিল। সে মনে করেছিল স্বামী "চোর আর চরিত্রহীন" না হলে, জীবনে অশান্তি থাকে না। কিন্তু অন্যান্যরা ও তার স্বামী বারংবার, এমনকি তার ছেলে আকাশের সামনে, তাকে humiliate করেছে। আকাশ ডিভোর্সের ডিসিশন নিতে বলে, কিন্তু রুমকি-র মতে, "বিবাহ সংসার গড়ে তোলে, ডিভোর্স সংসার ভাঙার প্রতীক"।
মা ডিভোর্সী হলে, আকাশ-ই প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। রুমকির মতে, "যে সয় সে রয়।"
উপন্যাসটি সে রোজনামচার আঙ্গিকে লিখেছে। প্রতিদিনের দিনলিপি নয়, কোনও কোনও দিন, বিশেষ এক অনুভূতি, কোনও টিভি সিরিয়ালের কোনও অভিনেত্রীর "Reel Name" বা এমন কোনও ঘটনা, যা তার স্মৃতি-কে উসকে দিয়ে, নিয়ে চলে যায়, বর্তমান থেকে অতীতে।
তাঁদের আবাসনে, এক বিশ্বকর্মা পূজার দিন, গাড়ীপূজা করবার সময়ে তেমন কিছু ঘটনা, তাঁকে লিখতে অনুপ্রাণিত করল। কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে, সে দুটো গাড়ী কিনল, পশ্চিমবঙ্গীয় একজন মহিলা অফিসার, শিলঙে এসে গাড়ী কেনার ফর্মালিটিজ, শিলঙের রাস্তাঘাট, প্রকৃতির বর্ণনা, কলকাতা তে কেনা গাড়ীর ড্রাইভার, ট্র্যাফিক জ্যাম, ইত্যাদির প্রতিফলন ঘটেছে, তাঁর লেখার মধ্যে। বিভিন্ন ঘটনার বর্তমান ও অতীত-কে, যেন একটি মালার দু-দিক হিসেবে গেঁথেছেন।